ঢাকা: হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর সব মানুষ সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অন্তত একটি দিন অতিবাহিত করলে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব যুগের আগমন ঘটবে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ।
বক্তারা বলেন, দেশের চলমান অসহিষ্ণু ও আশঙ্কাজনক সংঘাতযুক্ত বিদ্বেষমূলক পরিবেশ রোধে এবং দেশে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টিতে সবাইকে কলহ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি দেশের বিপথগামী মানুষকে সুপথে আসতে হবে। এজন্য সবার মাঝে পাপবোধ জাগ্রত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ আহমেদ খান রাজীব বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভেদাভেদ ভুলে সবার মাঝে বন্ধুত্বের বলয় সৃষ্টি প্রয়োজন। এজন্য সবার মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাহলে শান্তি, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর রোল মডেলে পরিণত হবে।
দেশের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের মধ্যে কলহ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করুন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ খান, লিয়াকত আলী খান, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসসি/আরএইচ