ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
কোর্ট ইন্সপেক্টর কাজী দিদারুল আলম জানান, বুধবার দুপুরে নিহত নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে যে মামলার আবেদনটি করেছিলেন সেটি খারিজ করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এম.এ মান্নান বলেন, মামলার আবেদন করার পর আদালত সেটিকে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছিল। আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতে থাকা সময়েও আদেশ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। মামলার আবেদন খারিজের বিষয়টি আমার জানা নেই। আদেশের কাগজ হাতে পেলে বলতে পারব।
এরআগে বুধবার দুপুরে নিহত নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে মামলার আবেদনটি করেন। এতে জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান, উপ-পরিদর্শক বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্টিলব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার উপর সিএনজি স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়িতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসবক দলের নেতারা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শেষে ফেরার সময় কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস এবং শফিকুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশ্যে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ সময় বিশ্বজিৎ সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়নের পেটে শার্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
জেএইচ
