বরগুনা: শীত মৌসুমে জেলা প্রশাসনের ইলিশ উৎসবে ক্রেতাদের সাড়া মেলেনি। ফলে বিক্রেতারা মাছ নিয়ে বিপাকে পড়ায় রাতে মাইকিং করে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন ইলিশ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে এভাবে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বরগুনা সার্কিটহাউস মাঠে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনি মেলা ও ইলিশ উৎসব শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের স্টলের পাশাপাশি ইলিশ উৎসবে গিয়ে দেখা যায় চার পাঁচজন পাইকারি বিক্রেতা ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। মেলা উপলক্ষে মাছ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ইলিশ মজুদ করে সেখানে এসেছেন।
মেলা চলাকালীন কয়েকজন ক্রেতা দরদাম করে ইলিশ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। এতে বিক্রির কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তাই বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে রাস্তার পাশে মাইকিং করে নির্ধারিত মূল্যের ২০০ টাকা কমে বিক্রি করছেন ইলিশ।
এভাবে মাইকিং করে রূপালি ইলিশ চারশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তাও আবার রাতে। এতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। দীর্ঘদিন পর হলেও কম দামে ইলিশ কিনতে পারছেন তারা।
এদিকে ইলিশের চাপে অন্য মাছের দামও কমতে শুরু করেছে। ফলে সবজির পর মাছ বাজারেও স্বস্তি ফিরেছে রাতে।
মাছ কিনতে আসা পৌর এলাকার বাসিন্দা রহিম মিয়া ও রকিবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ইলিশ এলেও সাইজে একটু ছোট। তবুও ইলিশ মাছ বলে কথা। দামও কিছুটা কমেছে।
পৌর মাছ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. সোনা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার ইলিশ মেলায় আমরা মাছ বিক্রি করতে পারিনি। সেই মাছ এখন রাতে নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০ টাকা কমে বিক্রি করছি, তাও মাইকিং করে। এতে আমাদের প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে বেশ কয়েক মণ ইলিশ মাছ থাকায় দাম কমিয়ে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি। যে মাছ আগে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ (২৩ নভেম্বর সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এ দামে বিক্রি হওয়া মাছ এক কেজিতে দুটি বা তিনটি পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে বড় সাইজের ইলিশ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এমএমজেড