ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপেক্ষায় যশোরবাসী

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপেক্ষায় যশোরবাসী ছবি: বাংলানিউজ

যশোর থেকে: যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে উপচে পড়ছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি। বঙ্গবন্ধু কন্যার এ আগমনকে ঘিরে তার কাছে দীর্ঘ দিনের তিন দাবির কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তা হলো- যশোর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকে রূপান্তর এবং ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়া যশোর শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কণ্ঠে উঠে এসেছে আরও কিছু দাবি। সেগুলো- যশোরকে বিভাগ করা, ভৈরব নদ সংস্কার, ভবদহে জোয়ারাধার চালুসহ আরও বেশ কিছু দাবি।

শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন বলেন, পৌরসভাটি সিটি করপোরেশন হলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। মধুমতি সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী যখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তখন এটি আজ হোক বা কাল; বাস্তবায়ন হবেই।

প্রবাসী জুয়েল খান বলেন, এ অঞ্চলের অনেক মানুষ প্রবাস জীবনে আছেন। আকাশ পথে দেশের বাইরে যেতে হলে রাজধানী ঢাকা হয়ে যেতে হয়। এমতাবস্থায় যশোর বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক করা হলে, এসব মানুষ উপকৃত হবে।

যশোর শহরের ব্যবসায়ী শাহেদ সেলিম বলেন, যশোর হাসপাতাল ৫০০ শয্যা করা সময়ের দাবি। এতে চিকিৎসা সংকট দূর হবে। আর সিটি করপোরেশন হলে অনেক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।

সাংবাদিক অনুব্রত মিঠুন বলেন, যশোর অনেক পুরনো শহর। এখানে রাস্তা-ঘাট উন্নত হয়েছে। এখন এটি সিটি করপোরেশন হওয়া দরকার। বিমান বন্দরটাও অনেক পুরাতন, আন্তর্জাতিক হওয়া উচিত।

জাসদের কার্যকরি কমিটির সভাপতি ও আইনজীবী রবিউল আলম বলেন, এই মুহূর্তে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ৫০০ শয্যা করা, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ বলেন, বিমান বন্দরটি আন্তর্জাতিক করা, হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা, যশোর ও আশেপাশের ১০ কিলোমিটারের রাস্তাগুলো চার লেনে উন্নীত করা এবং পুরানো ম্যাপ অনুযায়ী ভৈরব নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর পর তিন মেয়াদে ক্ষমতায় এসে যশোরবাসীকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক দিয়েছেন, ভৈরব নদ খনন শুরু করেছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কামলা সেতু করে দিয়েছেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের কিছু প্রাপ্তি বাকি আছে। তিনি আরও উপহার দেবেন বলে আমরা আশা করি। তিনি সব সময় আমাদের দক্ষিণবঙ্গের মানুষের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। আমরা তার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি, তিনি যেন যশোরকে সিটি করপোরেশন করে দেন। আমাদের আরেকটি দাবি, মেডিকেল কলেজের সাথে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করে দেওয়া। যশোর বিমানবন্দরটি অত্যন্ত পুরোনো। আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করে দেবেন।  

প্রসঙ্গত, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাচীন জনপদ যশোর। যা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় ২৪০ বছর আগে, ১৭৮১ সালে। যশোর পৌরসভা হয়েছে ১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট; ১৫৭ বছর আগে। ইতিহাসের সাক্ষী এ পৌর শহর ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার, যার লোকসংখ্যা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৪।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৩০০ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০২২
এনবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।