ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদী রক্ষায় ২৫-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘বালু নদী উৎসব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
নদী রক্ষায় ২৫-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘বালু নদী উৎসব’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান দখল ও দূষণের হাত থেকে রাজধানী ঢাকার নদীগুলোকে রক্ষায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বালু নদী উৎসব’। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর রাজধানীর বালু নদী তীরবর্তী ইটাখোল, ত্রিমোহনী ও খিলগাঁও এলাকায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উৎসবের আয়োজক সংস্থা ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা ও বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চার নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চার সদস্য সচিব মো. আমজাদ হোসাইন বলেন, ঢাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষা নদী দ্বারা বেষ্টিত। এ নদীগুলোর সঙ্গে আবার বিভিন্ন খালের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এ নদী ও খালগুলো দিন দিন দূষিত ও দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাভাবিক গতি হারাচ্ছে নদী। পাশাপাশি সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে এবং ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর ও জলাবদ্ধতার সংকট নিরসনে রাজধানীবাসী ভীষণভাবে সংগ্রাম করছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর পূর্বাঞ্চলের উপকণ্ঠ বারোগ্রাম বর্তমানে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের সম্মুক্ষীন। খিলগাঁও, ডেমরা ও সবুজবাগ থানার অন্তর্ভুক্ত ৩৬টি গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নড়াই, দেবধোলাই ও বালু নদীর পানি এখন প্রচণ্ডভাবে দূষিত। রাজধানীর পয়ঃনিষ্কাশনের প্রধান চ্যানেল নদীগুলোর ওপর প্রতিদিন হাজার হাজার টন দূষিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বনানী, গুলশান, মাদারটেক, বাসাবো, বাড্ডা, মুগদাপাড়া, এলিফ্যান্ট রোড, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, রামপুরা, কমলাপুর এবং পুরো তেজগাঁও শিল্প এলাকাসহ রাজধানীর অন্যান্য এলাকার সব বর্জ্য বালু নদীতে এসে পতিত হচ্ছে। তাই বালু নদী রক্ষায় ও দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর আয়োজন করা হচ্ছে ‘বালু নদী উৎসব’।

বালু নদী উৎসবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, নদী মানুষের সম্মুখভাগ। কিন্তু মানুষের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন দূষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নদী আজ নর্দমায় পরিণত হয়েছে। তাই দূষণকারীদের হাত থেকে নড়াই, দেবধোলাই ও বালু নদীকে রক্ষায় এ উৎসবের মাধ্যমে নদীপাড়ের জনগণ ও নাগরিক সংগঠনসমূহকে সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়া নদী দূষণ প্রতিরোধে নীতি নির্ধারক, সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যুবক, তরুণ, গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় সংগঠনসমূহ এবং নদীপাড়ের সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সচেতনতা বাড়ানো হবে।

আয়োজক সংস্থা জানায়, উৎসবের প্রথম দিন দুপুরে ইটখোলা, ত্রিমোহনী ও খিলগাঁও এলাকার বালু নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন সকালে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী সমাবেশ ও আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন 'নিজেরা করি' সংগঠনের সমন্বয়ক খুশী কবীর। বিকেলে লাঠি খেলা ও নারীদের বালিশ নিক্ষেপ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও নদী রক্ষায় ভবিষ্যৎ পরিক্রমা সম্পর্কে আলোচনা করে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের লিড শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- বারোগ্রাম বালু নদী মোর্চার আহ্বায়ক মো. সুরুজ মিয়া, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, বাপার কার্যকরী সদস্য ইবনুল সাইদ রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।