.gif)
বান্দরবান: বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪২তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪২তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সুয়ালকের মাঝেরপাড়া এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সংঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে বিদ্যালয়ের ৪২তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এক আলোচনাসভা, সাংস্কতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় বান্দরবানের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বান্দরবান সদর উপজেলায় মনোরম পরিবেশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। এই বিদ্যালয়টি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও মননশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে পার্বত্য এলাকার অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজকরে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের শিক্ষার হার বাড়াতে বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন আর তারই হাত ধরে পার্বত্য এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, সিং ইয়ংম্রো, লক্ষীপদ দাশ, ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য এলাকার পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ম্রো সম্প্রদায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে ১৯৮০ সালে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাত্রা করে, আর ৪২ বছরে অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ম্রো ও খুমী শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষ করে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
আরএ
