রাজশাহী: দেশের ছয় গুণীজনকে সংবর্ধনা দিলেন- রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়োজনে দেশ-বরেণ্য এই ছয় গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় এই গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গুণীজনদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে, উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। সংবর্ধনা স্মারকপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তার প্রতিনিধিকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একসঙ্গে এতো গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়ার সৌভাগ্য আমরা বেশি পাই না। গুণীজনরা দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার মূল স্রোতকে ধরে রাখবার জন্য, সংবিধানকে সমুন্নত রাখবার জন্যে যা যা করেছেন, সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তারা তাদের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমাজসেবী মেয়রপত্নী শাহীন আকতার রেণী। সমাপনী ঘোষণা করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন ও সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি. এম খায়রুল হক বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের অক্ষরে লেখা আমাদের সংবিধান। আপনারা খেয়াল রাখবেন, এই সংবিধানটা যেন আমরা আমাদের বুকে ধরে রাখি, এটিকে প্রটেক্ট করি।
সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, রাজশাহী সবুজে ঘেরা। নিজ চোখে দেখে যেতে পারলাম কী করে একটি নগর জীবন্ত ও সজীব হয়ে উঠেছে। পুরো দেশ ঘুরে দেখুন এমন পরিচ্ছন্ন ও সুবজ নগরী গড়ে তুলতে পারছি না।
সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, রাজশাহীর প্রতি পদে পদে ইতিহাস কথা বলে। রাজশাহীর গম্ভীরা দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। যতবার এই রাজশাহীতে এসেছি এই শহরের প্রতি ভালোবাসা ততোই বেড়েছে। রাজশাহী প্রতিটি গুণীমানুষের জন্য নগর উদ্যান। রাজশাহী সবুজ চিরতরুণ নগরী।
মেয়র কর্তৃক সংবর্ধনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, ১৮৯২ এর নভেম্বরে রাজশাহী শহরে এসেছিলেন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯২৮ সালে আরেকবার আসেন। তিনি যতবার রাজশাহী এসেছেন ততোবার তিনি রাজশাহী দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, তার মন ভালো হয়েছে। রাজশাহীর ঐতিহ্য শিক্ষা নগরীর ঐতিহ্য। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় রাজশাহীর সন্তান। ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী রাজশাহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এসএস/এসআইএস