খুলনা: খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে ট্রলারযোগে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি কর্মী শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম জিকো শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) মারা গেছে। গত ২২ অক্টোবর ওই বিএনপি কর্মীর ওপর এ হামলা হয়।
ঐ ঘটনায় জিকোসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে জিকোর মাথা ফেটে গেলে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তাকে ১২টি সেলাই দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসা শেষে পায়গ্রাম কসবা নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ ঘটনার এক মাসের অধিক সময়ের পর শুক্রবার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু ঘটে।
জিকো ফুলতলা ইউনিয়ন বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মৃত শেখ শওকত হোসেনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ শিশুকন্যাসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বাদ আছর পায়গ্রাম কসবা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
বিএনপির দাবি, খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ পণ্ডুল করতে গণপরিবহন বন্ধসহ নানা ষড়যন্ত্রে সফল হতে না পেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চোরাগুপ্তা ও অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গণসমাবেশে আসার পথে ফুলতলার ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান জিকোকে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে তার মাথায় ১২টি সেলাই দেন চিকিৎসকরা। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের যন্ত্রণায় প্রায় একমাস মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করেছেন।
মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। যারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
বিএনপি কর্মী জিকোর জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, এস এ রহমান বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও আশরাফুল আলম নান্নু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, বিএনপি নেতা শেখ লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন বাবু, বাবর আলী, মোল্যা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান জিকোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এমআরএম/জেএইচ