ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ: পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় বাংলাদেশ আলোকিত।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরন করেছিলেন। শুরু করেছিলেন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ করার কাজ। তখন ডাল ভাত খেয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখতো মানুষ। এখন মানুষ উন্নত, আধূনিক জীবনযাপন করছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সভাপতি গোলাম মওলার সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগে বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য বিদ্যুৎ না পেয়ে জনসাধারণ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে। ২০০৮ সালের আগে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতেও লজ্জা বোধ করতেন। কিন্তু এখন তারা বুক টান করে চলাফেরা করে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনাকালীন সময়ে পুরো দুই বছর বিশ্ব অচল হয়ে গিয়েছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে। যার ফলে আমাদের উচ্চ মূল্যে গ্যাস ও জ্বালানি তেল কিনতে হচ্ছে, বেশি খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। এতে দেশের নাগরিকদের কিছুটা হলেও কষ্ট করতে হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে চায় বিএনপি-জামায়াত জোট। অথচ তাদের আমলে বিদ্যুৎ ও সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে।

পলক আরও বলেন, দূর্নীতি পরায়ন বিএনপি সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। হাওয়া ভবনের রিমোট কন্ট্রোলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন ৩-৪ হাজার মেঘাওয়াট চাহিদা ছিল। আর এখন ২০ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা। হারিকেন, বাতি দিয়ে গ্রামের সন্তানরা পড়ালেখা করতো। এখন গ্রামের তরুণরা গ্রাম থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিতে আয় করতে পারছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ক্যাবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য, কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে  বোরো মৌসুমে দেশে সেচ কাজে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে। কৃষকরা শস্য উৎপাদনে যাতে বাধার সন্মুখিন না হয় তা তিনি নিজেই মনিটরিং করবেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেছেন বলেই আজ সিংড়াবাসীর সার্বিকভাবে এতো উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। আগে সিংড়ায় ২৭ হাজার গ্রাহক ছিল, মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। চলনবিলের বিচ্ছিন্ন গ্রাম বেড়াবাড়িতে ৭ কি. মি. এলাকায় লাইন টেনে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। অথচ কোনোদিন তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে সেই স্বপ্নও তারা দেখতো না। সিংড়ায় গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দিয়েছে সরকার। ১৩ বছরে আমরা দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে গেছি। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। নিরাপদ, নান্দনিক ও মানবিক সিংড়া উপহার দিয়েছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন করা হয়েছে। সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিয়েছে।

সেখানে ভোট চেয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যারা দূর্নীতিবাজ তাদের ভোট দেবেন নাকি যারা দেশকে স্থিতিশীল, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন তাদের ভোট দেবেন।

সভা পরিচালনা করেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিংড়া জোনাল অফিস ডিজিএম মো. শাহাদৎ হোসেন। সেখনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী এমদাদুল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার ভূমি আল ইমরান, পরিচালক প্রফেসর আতাউর রহমানসহ সমিতির পরিচালকরা।

উল্লেখ্য, প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে মূল ভবন, আবাসিক ভবন ও আনসার ভবন নির্মান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।