ঢাকাঃ অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ডাব কিনতে গেলেন বাজারে। বাসায় ফিরে দেখেন ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন স্ত্রী।
স্বজনদের সহায়তায় স্ত্রীকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন স্ত্রী।
রাজধানীর খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী কবিতা আক্তারকে (২০) নিয়ে থাকতেন মো. সোহাগ মিয়া। ওই বাড়ির দারোয়ানের কাজ করেন তিনি।
সোহাগ ও কবিতার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায়। কবিতার বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে নিজ কক্ষ থেকে কবিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কবিতা।
সোহাগ জানান, গত ছয়মাস আগে গ্রামে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেন কবিতাকে। বিয়ের পর থেকে দক্ষিণ বনশ্রীর ওই বাসায় উঠেন। গত এক মাস ধরে কবিতা শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিল। গতকাল (শনিবার) মুগদা হাসপাতালে কবিতাকে ডাক্তার দেখায়। ডাক্তার কবিতাকে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা না করিয়ে কবিতাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। কবিরাজ তাবিজ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
সোহাগ বলেন, আজ (রোববার) দুপুরে কবিতার জন্য বাজারে ডাব কিনতে যাই। বাসায় ফিরে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। জানালা দিয়ে দরজা খুলে দেখে কবিতা ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। সাথে সাথে তাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণ করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এজেডএস/এসএএইচ