নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দায়ে তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটেরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিবাহ করেন। বিয়ের পর মাত্র ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ২০০২ সালে ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জডি) করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মরদেহ ভেসে উঠেছে।
ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বামী ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও বাকী আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌঁসুলি।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা মামলার বাদী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ এ রায় হলো কিন্তু আমার বাবা বেঁচে নাই। তিনি মারা গেছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এসএম