হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য 'বীর নিবাস' নির্মাণের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অন্যের বাড়িতে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম এ উপজেলা পর্যায়ে ঘর পাচ্ছে চারটি পরিবার। বরাদ্দ এসেছে ১২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রথম পর্যায়ের উপকারভোগীরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল হক, মো. ছুরত আলী, মো. আব্দুর রশীদ ও প্রয়াত আব্দুল কাদিরের স্ত্রী ফাইজুন নাহার।
উপকারভোগীরা জানান, বীর নিবাস নির্মাণের সময়সীমা প্রায় ৬ মাস আগেই পেরিয়ে গেছে। ঘরগুলো তাদের আগের ঘরের স্থানে নির্মাণ হওয়ায় এখন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। প্রায় ১১ মাস আগে নির্মাণ শুরু হয়ে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ছয় মাসে আগেই। এ জন্য এতোদিন ধরে অন্যের বাড়িতে বসবাস করতে তাঁদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এদিকে, তিন মাস ধরে কাজ বন্ধ। কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, কিন্তু ফল মেলেনি।
উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছুরত আলী বলেন, ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর আমার আগের ঘরটির স্থানেই কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য ১১ মাস ধরে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে থাকছি। প্রায় ৩ মাস ধরে কাজ বন্ধ, ঠিকাদারেরও খোঁজ নেই। এতোদিন ধরে অন্যের বাড়িতে থাকতে নানা সমস্যা মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পিআইও আলী নূর জানান, প্রথম পর্যায়ের বীর নিবাস নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে বাজেট স্বল্পতার কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ সমস্যা না হলে আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই কাজ শেষ হয়ে যেত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এফআর