ফরিদপুর: নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটে (নগই) টেন্ডারে কাজ না পেয়ে প্রকল্প পরিচালককে কিল-ঘুষি মেরে আহত করেছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
ফরিদপুরে নগই এর বাস্তবায়নাধীন জামালপুরের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল্লাহ আল ইমরানের অফিসকক্ষে রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন - হাড়ুকান্দি মহল্লার মো. নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বেলা পৌনে ১২টার দিকে নিজ অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন পিডি আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময় মো. নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধা নামের দুই যুবক তার কক্ষে ঢুকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয়। এরপর তার কাছে জামানতের টাকা ফেরত চায়। বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডারের সময় তাকে কেন অফিসকক্ষে পাওয়া যায়নি বলে জানতে চায় তারা। এরইমধ্যে আব্দুল্লাহ আল ইমরানকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে তারা। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এসময় সহকর্মীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে তারা ছিটকিনি খুলে দেয় এবং তাদের সামনেই আবারও মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়।
ভুক্তোভোগী আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে ১০ তারিখে। এখনো কেউ কাজ পায়নি। টেন্ডারের ইভ্যালুয়েশনের কাজ চলছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ সুপারকেও অনুলিপি দিয়েছি।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিয়াজি ও কাজল ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের কাজ দেখাশুনা করেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, আমি নদী গবেষণায় টুকটাক কাজ করি। তবে অভিযুক্তরা আমার লোক না। কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার সবাই তো আমার লোক।
ঘটনা কি হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, পোলাপান অফিসে গিয়েছিল৷ সেখানে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধার বক্তব্য জানা যায়নি।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার এসআই সাকরাতুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনা তদন্তে যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মো. আব্দুল গাফফার বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এসএএইচ