চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে তদন্ত দল। অফিসের সদ্য সাবেক উপ-সহকারি পরিচালক মাহমুদুল আলম চৌধুরী কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে চুয়াডাঙ্গার পাসপোর্ট অফিসে আসেন দুই সদস্যের ওই দলটি। এ সময় অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেন তারা। স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন ভুক্তেভোগীদের। আবেদনকারীদের কাছ থেকে শোনেন নানা অভিযোগের কথা।
গত ২০ নভেম্বর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রধান কার্যালয়ের সিআরআই শাখার সহকারি পরিচালক আজিজুল ইসলামকে। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন আরেক সহকারি পরিচালক কল্লোল হাসান।
কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম জানান, গত ২০ নভেম্বর কমিটি গঠনের পর থেকেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল অনুসন্ধানসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। রোববার সারাদিন এসব তদন্তকাজ করা হয়। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও জানান, প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই, অফিসের অনিয়ম-অসঙ্গতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সুপারিশমালা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালক বরাবর জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেট নিয়ে একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে ডিএডি মাহমুদুল আলম চৌধুরির নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্য, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দালাল সদস্যদের অনাধিকার চর্চার বিষয়টি উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এফআর