ঢাকা: সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুই গ্রাহক শার্প নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড এবং ব্লাইথ ফ্যাশন লিমিটেডের ঋণ অনিয়ম সম্পর্কিত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কিত ‘খবরটি বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক’ বলছে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক।
বেসরকারি বাণিজ্যিক এ ব্যাংকটির মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং কমিউনিকেশন ডিভিশন থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঠানো এ সম্পর্কিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বলছে, মেসার্স শার্প নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড ২০১৫ সালে চলতি হিসাব খুলে ব্যাংকের বনানী শাখায় লেনদেন করে আসছে। গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে তাদের অনুকূলে একটি বিনিয়োগ লিমিট অনুমোদিত হয়। বর্তমানে গ্রাহকের কাছে হালনাগাদ মুনাফাসহ পাওনা সর্বসাকূল্যে ১৬৩ কোটি টাকা। গ্রাহক নিট গার্মেন্টস ব্যবসায় জড়িত। শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাদের অনুকূলে ৮৮১টি লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ১৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা স্থানীয় এলসি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে বর্তমানে অনাদায় রয়েছে ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
গ্রাহক থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে ১১৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রজেক্ট ফাইনান্স দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ১৫৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯২ ডলার বা ১৬ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার ব্যাক টু ব্যাক এলসি-দায়ের বিষয়টি একেবারেই বানোয়াট ও অসত্য।
গ্রাহক নিয়মিত দায় পরিশোধ না করার কারণে ব্যাংকের দায় বকেয়া পড়ায় ইতোমধ্যে এনআই অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক। অধিকন্ত গ্রাহক বর্তমানে দায় পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
ব্যাংকের অপর গ্রাহক মিরপুরের ব্লাইথ ফ্যাশন লিমিটেড সম্পর্কে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য হলো, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান দায় ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
উভয় গ্রাহকের দায়ের বিপরীতে তাদের কারখানার জমি ও ফ্যাক্টরি বিল্ডিং ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধক রয়েছে। তদুপরি তাদের স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কোনো রকম বন্ডেড ওয়্যার হাউজ সুবিধা দেওয়া হয়নি।
এ সম্পর্কিত প্রকাশিত খবরকে অবান্তর উল্লেখ করে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক জানায়, এ রিপোর্টের মাধ্যমে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এতে সাধারণ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
জেডএ/আরএ