নাটোর: নাটোরের লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছিল নকল আইসক্রিম ও ভেজাল গুড়। পৃথক দুই অভিযানে নকল আইসক্রিম এবং ভেজাল গুড় তৈরির অপরাধে চার জনকে ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৫) নাটোর ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত অভিযান চালিয়ে লালপুর বাজারে শ্রাবণী আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে প্রাণ গ্রুপের শিশুদের কোমল পানীয় ও আইসক্রিমের ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে নকল আইসক্রিম উৎপাদন করার অপরাধে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির সত্ত্বাধিকারী মো. কোরবান আলী (৬৫)কে নকল আইসক্রিমসহ আটক করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫০ ধারায় তাকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া ও ভবানীপুর গ্রামে চিনি, চুন, ফিটকিরি, ফেব্ররিক কালার ও সোডা মিশ্রিত করে ভেজাল গুড় তৈরীর অপরাধে মো. সলিম উদ্দিন প্রামানিক (৪৫), মো. আব্দুল মান্নান (৪৫) এবং মো. আতিয়ার রহমান (৩২) নামে তিন জনকে আটক করে।
পরে ভেজাল গুড় তৈরী ও বিক্রির অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪২ ধারায় ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ১ হাজার ৮০০ কেজি ভেজাল গুড়, ৯০০ লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ, ১০ কেজি চুন, ১০০ গ্রাম ফেব্ররিক কালার, ২ দশমিক ১ কেজি ফিটকিরি এবং ১০০ গ্রাম সোডা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গুড় ও অন্যান্য উপকরণ জনসম্মূখে ধ্বংস করা হয়।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, যৌথভাবে এ দুইটি অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন, কোম্পানি উপ-অধিনায়ক ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসএম