ভোলা: ২৬ বছরেও সংস্কার হয়নি ভোলার মাঝের চরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। এতে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন ১০০টি পরিবার।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের দিকে ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের দুর্গম জনপদ মাঝের চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠিকানা পেয়ে বসতি শুরু করেন নদী ভাঙ্গনে ঠিকানাহারা ৫০০ পরিবার। নতুন ঘর পেয়ে গৃহহীন মানুষগুলো স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করলেও সেসব ঘর এখন বসবাসের অনুপযোগী। কারো ঘরে টিনের চালা ফুটো, কারো বা দরজা জানালা ভাঙ্গা। এ সব ঘর সংস্কার না হওয়ায় বর্ষায় পানি পড়ে আর শীতের সময় ঠাণ্ডা বাতাসে কষ্ট পেতে হচ্ছে তাদের।
আশ্রায়ণের বাসিন্দা মনেরা খাতুন বলেন, ছোট একটি ঘরে পরিবারের ১৫ জন নিয়ে বসবাস করছি। ঘড় গুলো খুবই জরাজীর্ণ। শীতের মধ্যেও কষ্টে দিন কাটাতে হয়।
একই অভিযোগ, বাসিন্দা মিনারা বেগমের। তিনি বলেন, পরিবারের ৭ জন নিয়ে থাকেন। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমি নাই, এখানে আশ্রয় হয়েছে। কিন্তু ঘরের যে অবস্থা এতে কোনো মতে টিকে আছি। অন্য কোথায় আশ্রয় পেলে চলে যেতাম।
বড়াইপুর ১ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পরিবারগুলো ২৬ বছর ধরে এ চরে বসবাস করছেন। ১৯৯৬ সালে তৎকালিন সরকার বড়াইপুর ও রামদেবপুরে ভূমিহীনদেন বসবাসের জন্য জন্য ৫০০ ঘর নির্মাণ করে।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এমন জরাজীর্ণ এসব ঘরগুলোর। সরকার এর মধ্যে ৪০০ টি ঘর পুন:নির্মাণ করলেও বড়াইপুরে ১০০টি পরিবারের অবস্থা এতই নাজুক যে কোন সময় ঘর ভেঙ্গে দুর্ঘটনা আশংকা করছেন বাসিন্দারা।
৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুর রব বলেন, ঘরগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সেখানে বহু কষ্ট করে মানুষজন বসবাস করেন। এগুলো মেরামত বা পুন:নির্মানের জন্য বার বার বলার পরেও জেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন মানুষগুলো মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামীন বলেন, খুব শিগগির সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব ঘর মেরামত করা হবে।
এদিকে, ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখত জীর্ন ঘরগুলো দ্রুত সংস্কার বা নতুন ঘর নির্মানের দাবি জানান এলাকাবাসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসএম