গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হোসিয়ারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মাসুদকে (৪০) হত্যায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে শোকার্ত পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের বাড়িতে গেলে এ দাবি জানান তারা।
নিহতের বড় মেয়ে ফারজানা বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। একই দাবি নিহতের অপর মেয়ে সুমাইয়া ও একমাত্র ছেলে মামুনের।
নিহতের স্ত্রী নার্গিস বেগম শোকে কথা বলার অবস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার-সাহায্য প্রার্থনা করছেন।
এদিকে ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের খালাতো ভাই মোমেন মিয়াকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মসজিদের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত-গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট শীতবস্ত্রের বাজারস্থ জামে মসজিদের কাছে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ব্যবসায়ী মাসুদ।
স্থানীয়রা জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে বাজার মসজিদে এশার নামাজ পড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মাসুদ। পথে অন্ধকারে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে এসে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া নেওয়ার পথে সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।
নিহত মাসুদ কোচাশহর ইউনিয়নের কানাইপাড়া গ্রামের আবু রায়হান খট্টুর ছেলে। তিনি কোচাশহরে ন্যাশনাল হোসিয়ারি কারখানার মালিক। পাশাপাশি গোবিন্দগঞ্জ শামীম অ্যান্ড শাকিল কারিগরি কলেজে ল্যাব সহকারী হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন মাসুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
আরএ