ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার নেই, চাষাবাদ ব্যাহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার নেই, চাষাবাদ ব্যাহত ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল পৌর এলাকার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়ায় বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ফলে ১০০ বিঘা জমিতে এবার আমন ও সরিষা আবাদ করতে পারেননি চাষিরা।

এমনকি আগামী বোরো মৌসুমে ধানের আবাদও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থায়ী কালভার্টের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।  

স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বে ওই অঞ্চলের বন্যার পানি রাস্তার পাইপের মাধ্যমে নিষ্কাশন হতো। কিন্তু গত ২৬ জুন বন্যার প্রবল পানির তীব্র স্রোতে পুলিশ লাইনস-ধরেরবাড়ী সড়কের এনায়েতপুর ভাঙারপাড় এলাকায় সড়ক ভেঙে যায়। এতে টাঙ্গাইল শহরের সাথে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।

পরবর্তীতে টাঙ্গাইল পৌরসভার উদ্যোগে মাটি ভরাট করে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হলেও কোন পাইপ স্থাপন করা হয়নি। ফলে সড়কের উত্তর পাশের পানি সরে যেতে পারছে না। এতে রোপা আমন মৌসুম ও চলতি সরিষা মৌসুমে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন চাষিরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আগামী বোরো মৌসুমেও এ এলাকার ১০০ বিঘা জমির চাষাবাদও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েতপুর পশ্চিম পাড়া থেকে বাঘিল ইউনিয়নের দুরিয়াবাড়ী পূর্বপাড়া পর্যন্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। পানির মধ্যে অনেকেই ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন।

এনায়েতপুর এলাকার চাঁন মিয়া ও সফিজ উদ্দিন জানান, বন্যার পর বিভিন্ন অঞ্চলের পানি সরে গেলেও কোন কালভার্ট না থাকায় এ অঞ্চলের পানি সরে যায়নি। ফলে গত বছর ওই জমিতে রোপণ আমন ও সরিষার চাষ হলেও এ বছর তা আর সম্ভব হয়নি। তারা দুজনে ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান ও সরিষার চাষ করতে পারেননি। আগামী মৌসুমে বোরো চাষ নিয়েও রয়েছেন শঙ্কায়। এছাড়া স্থানীয়দের বাঁশের সাকোর মাধ্যমে চলাচল করতে হচ্ছে।  

স্থানীয় সেচ পাম্পের মালিক আনিছুর রহমান জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানোর পরও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা তারা নেননি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।  

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, বন্যার পানিতে সড়কটি ভাঙার পর তাৎক্ষনিক বক্স কালভার্ট বা সেতু করা সম্ভব ছিল না। ওই স্থানের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ইতোমধ্যে প্রাক্কলন করা হয়েছে। কাউন্সিলরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ওই স্থানে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য। রাস্তাটি এলজিইডির হলেও পৌরবাসীর সুবিধার্থে ও জনগণের স্বার্থে এই কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।