ঢাকা: কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া সাদুপুর এলাকায় এক বাক প্রতিবন্ধী নারীকে (৩৫) ফুসলিয়ে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ভুক্তভোগীর।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নারীর শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্ষণ ও আগুন সন্ত্রাসের শিকার হন ভুক্তভোগী। পরে দিনগত রাতে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানেই মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বোন জানান, সোমবার সাদুপুর এলাকায় তাদের বাসার সামনে থেকে এক ট্রাক চালক ফুসলিয়ে তার বোনকে কদমতলী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় তার বোন পুলিশের কাছে আকার-ইঙ্গিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। মৃত্যুর আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিনা, ময়নাতদন্ত হলে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামাল বলেন, জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সু-বাড্ডা চিতাখোলা সাবান ফ্যাক্টরির পাশ থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় শনাক্ত করতে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর জানানো যাবে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এজেডএস/এমজে