ঢাকা: জামালপুরের গঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা মুর্শিদা বেগম, বয়স ৫০। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ২০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন।
তিন সন্তানের জননী মুর্শিদা বেগম। দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে স্কুলে পড়ে, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। স্বামীর স্বপ্ন ছিল যেভাবেই হোক মেয়েটিকে এসএসসি পাস করাতেই হবে।
দশ বছর আগে মুর্শিদার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে সপ্তাহে ছয়দিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। সেখান থেকে পাওয়া ছয় হাজার টাকা দিয়ে ঘর ভাড়াই হত না। তাই পরে পেশা পরিবর্তন করেন।
তেজগাঁও এলাকার তারকাটা তৈরি কারখানা থেকে বস্তা ভর্তি ময়লা ও মাটি কিনে আনেন মুর্শিদা। সেগুলো পরিষ্কার করে সেখান থেকে পাওয়া লোহার গুড়া দশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সেখান থেকে তার আয় প্রতিদিন ২০০ টাকা। তা দিয়েই চলে পরিবার।
মুর্শিদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ভিক্ষা চাইলে কেউ দেবে না। তাই সংসার চালানোর জন্য রাস্তায় কাজ করি। গরিবের ঘরে যখন জন্ম নিয়েছি, জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। এই কষ্টের শেষ নেই।
এখান থেকে ২০০টাকা পাই, তাতে কি সংসার চলে? ঘর ভাড়া ছয় হাজার টাকা। এক কেজি চালের দাম ৬০ টাকা। এত কষ্ট করি তবুও অন্যের কাছে হাত পাতি নাই।
দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে নাখালপাড়া স্কুলে পড়ে। ছেলে দুইটা ছোট। আমরা থাকি তেজগাঁও কুনিপাড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
জিএমএম/এমএইচএস