ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এই কষ্টের শেষ নাই

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এই কষ্টের শেষ নাই লোহার গুড়া বিক্রি করে সন্তানদের পড়ালেখা করাচ্ছেন মুর্শেদা। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: জামালপুরের গঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা মুর্শিদা বেগম, বয়স ৫০। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ২০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন।

প্রথমে অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও পরে লোহার গুড়া বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

তিন সন্তানের জননী মুর্শিদা বেগম। দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে স্কুলে পড়ে, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। স্বামীর স্বপ্ন ছিল যেভাবেই হোক মেয়েটিকে এসএসসি পাস করাতেই হবে।

দশ বছর আগে মুর্শিদার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে সপ্তাহে ছয়দিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। সেখান থেকে পাওয়া ছয় হাজার টাকা দিয়ে ঘর ভাড়াই হত না। তাই পরে পেশা পরিবর্তন করেন।

তেজগাঁও এলাকার তারকাটা তৈরি কারখানা থেকে বস্তা ভর্তি ময়লা ও মাটি কিনে আনেন মুর্শিদা। সেগুলো পরিষ্কার করে সেখান থেকে পাওয়া লোহার গুড়া দশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সেখান থেকে তার আয় প্রতিদিন ২০০ টাকা। তা দিয়েই চলে পরিবার।

মুর্শিদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ভিক্ষা চাইলে কেউ দেবে না। তাই সংসার চালানোর জন্য রাস্তায় কাজ করি। গরিবের ঘরে যখন জন্ম নিয়েছি, জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। এই কষ্টের শেষ নেই।

এখান থেকে ২০০টাকা পাই, তাতে কি সংসার চলে? ঘর ভাড়া ছয় হাজার টাকা। এক কেজি চালের দাম ৬০ টাকা। এত কষ্ট করি তবুও অন্যের কাছে হাত পাতি নাই।

দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে নাখালপাড়া স্কুলে পড়ে। ছেলে দুইটা ছোট। আমরা থাকি তেজগাঁও কুনিপাড়া।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
জিএমএম/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।