ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল ছুঁড়ে লাভ নেই: বিএনপিকে কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেণ্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১০
কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল ছুঁড়ে লাভ নেই: বিএনপিকে কাদের

ঢাকা: সরকারের সমালোচনার আগে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের এমপি।

তিনি বলেছেন, ‘কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল ছুঁড়ে লাভ নেই।

আয়নার সামনে দাঁড়ান, নিজেদের অতীত ভেসে উঠবে। ’

শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সামাজিক সংগঠন ‘জনতার প্রত্যাশা’ আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার’ শীর্ষক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগের পর তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন  যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে ওবায়দুল কাদের এ বক্তব্য দেন।

খোন্দকার দেলোয়ারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করেছিলেন। এ কৌশলে কেএম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা করতে করতে গিয়ে দেশে রক্তাক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। তাতে সফল হতে না পেরে ইয়াজ উদ্দীনকে ‘ইয়েস’ উদ্দীন বানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। করেছিলেন ২২ জানুয়ারির ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের পাঁয়তারা। আর এর ভেতর দিয়েই জন্ম হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের। ’

বিরোধী দলকে অপেক্ষার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘ধীরে দেলোয়ার ভাই, একটু ধীরে। কেবল ১৯ মাস, বাকী আরও ৩ বছর। এরমধ্যে পদ্মা, মেঘনার পানি অনেক দূর গড়াবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পরিবর্তনের চিন্তা সরকারের নেই বলে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর এ বিষয়ে কিছু বলার থাকে না। তবে কোনো ব্যবস্থাই চিরস্থায়ী নয়। ’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে এর মেয়াদ ও কার্যপরিধি সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। অন্যথায় ওয়ান ইলেভেন বারবার ফিরে আসবে। ’

‘কোনো সভ্য সমাজ হলে পাবনার ঘটনায় সরকার পদত্যাগ করত’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ’র এ বক্তব্যের জবাবে কাদের প্রশ্ন তোলেন, ‘দেশের ৬১ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় আমরা কোন সভ্য সমাজে বাস করছিলাম? তখনকার ক্ষমতাসীনরা কি পদত্যাগ করেছিলেন?’

আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিত্র দেশ হিসেবে তারা প্রস্তাব দিতেই পারে। এখন পাঠাবো কি পাঠাবো না দেশবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। ’

প্রতিহিংসার রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুর্নর্বিবেচনা করুন। ’

জনতার প্রত্যাশা’র আহবায়ক এমএ করিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস বিন হেলালী, মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দীন বীরবিক্রম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।