ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু-লুটের মাল: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু-লুটের মাল: শেখ হাসিনা

ঢাকা: বিএনপি জনগণকে পরোয়া করে না। ওরা ক্ষমতায় গেলেই নির্বাচন নিয়ে, মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

এটা বিএনপির চরিত্র। তার কারণ একটাই, ওরা তো গণমানুষের দল না। ওরা মানুষকে পরোয়া করে না। ক্ষমতা ওদের কাছে ভোগের বস্তু, লুটের সুযোগ, লুটের মাল। আর বাংলাদেশের মানুষ তাদের কাছে কিছুই না।

বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৫) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে এসব মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে। তারই হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। কাজেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

এ সময় বিএনপির জুলুম-অত্যাচারের সঙ্গে একাত্তরের কোনো তফাৎ দেখেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০০১ পরবর্তী বিএনপি আমলের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কারও চোখ তুলে নিয়েছে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হাড় গুঁড়া গুঁড়া করে দিয়েছে, জেলে নিয়ে গেছে, একেকটা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়েছে। হয়রানির চরম অবস্থা। সারা বাংলাদেশে ঠিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এ দেশে নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে যখন ক্ষমতায় এলো মনে হলো যেন সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই অত্যাচার-গণহত্যারই যেন পুনরাবৃত্তি।

শেখ হাসিনা বলেন, এদের দুঃশাসন চরম পর্যায়ে। আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে যেতে পারতাম না। রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। যুব মহিলা লীগ করার পর সব বাধা অতিক্রম করে আমার এই মেয়েরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। এই মেয়েদেরও কিন্তু ওরা ছাড়েনি! একদিকে পুলিশ বাহিনী, আরেকদিকে ছাত্রদল; বিএনপির গুণ্ডা বাহিনী। অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। তারা যে অত্যাচার করেছে, আমরা কিন্তু তার কিছুই তাদের ওপর করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি, দেশের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে এদিন সহযোগী সংগঠনটির নতুন সভাপতি ও সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি হয়েছেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজি। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শারমিন সুলতানা লিলি। নতুন এ নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য দেন যুব মহিলা লীগের বিদায়ী সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।