ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হরতাল: আব্বাস ও এ্যানি, মবিন, মান্নান, হাইসহ শতাধিক গ্রেপ্তার, ৬ শতাধিক আটক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১০

ঢাকা: আজ হরতালে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাংসদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।



রাজধানীর শাহজাহানপুর নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি হোটেলের সামনে থেকে সকাল ১১টার দিকে মির্জা আব্বাসকে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে এ্যানিকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া রাজধানীর মহাখালী ওয়ারলেসগেট এলাকা থেকে বেলা সোয়া ১২টায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

জুরাইনে আলম মার্কেটের সামনে একটি মিছিল থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে কারওয়ানবাজার এলাকায় একটি মিছিল থেকে সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় একই সময়ে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আটক হন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু।

হরতালে গাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম। এছাড়া হরতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে এ্যানিকে প্রথমে আটক করে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সিনিয়র নেতারা ছাড়াও আজ হরতাল চলাকালে মহাখালী পয়েন্টে সাত জন, জুরাইনে পাঁচ জন, যাত্রাবাড়িতে তিন জন, শাহবাগে ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রদল শাখার সভাপতি প্রার্থী মুন্নি চৌধুরী মেধাসহ আট জন ও কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার রাজিয়া আলম, মমতাজ বেগম ও সুরাইয়া বেগমসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেকজন মহিলা ওয়ার্ড কমিশনারকে।

সব মিলিয়ে কেবল রাজধানীতেই মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা শতাধিক। তবে পুলিশের ভাষ্য, রাজধানীতে এ পর্যন্ত তারা ৯৬ জনকে আটক করেছে।

ডিএমপি কমিশনার একেএম শহিদুল হক টেলিফোনে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মোট ৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে আজ হরতালের দিনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর প্রায় ২শ নেতা-কর্মীকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
 
এদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩৬ জন, যশোরে ২১ জন,  কিশোরগঞ্জে ১৮ জন, কুষ্টিয়ায় ১৭ জন, রাঙ্গামাটিতে ১৭ জন, চাঁদপুরে ১৪ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ জন, নাটোরে ১২ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৭জন ও ঠাকুরগাঁয়ে ৭ জন, লালমনিরহাটে ৫জন, কক্সবাজারে ৫ জন, সাতক্ষীরায় ২জন ও ঝালকাঠিতে ২জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে গতরাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ধরপাকড় চালায় পুলিশ। এতে আটক হয় বিএনপি ও জামায়াত ও সমমনা রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রায় চার শ’ নেতা কর্মী।

এদিকে, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসব আটকের ঘটনাকে যুক্তিযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে।

বাংলাদেশ সময় ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১০
এসএফ/এজেড/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।