বরিশাল: নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, কর্মীদের মারধর, নারী কর্মীদের শ্লীলতাহানি ও জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বরিশাল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ( ট্রাক প্রতীক) মো. সালাহউদ্দিন রিপন। এসব বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
উত্তর দেওয়ার সময় তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন সালাহউদ্দিন রিপন তো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিল। তাহলে একজন আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী মনোনয়নপ্রত্যাশীকে হুমকি দেয় কীভাবে? এর মানে তিনি একদমই অচেনা। সাম্প্রতিক সময় ছাড়া তার নাম তো কেউ শোনেনি। নিজেকে ফলাও করে প্রচারের লক্ষ্যে তিনি প্রেস ব্রিফিং করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
জাহিদ ফারুক বলেন, গত ৫ বছর ধরে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম আম। কেউ দেখেছেন আমি বা আমার ছেলেপেলে কারও সাথে মারামারি করেছে? তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে করবে? আমি তো তাকে (সালাহউদ্দিন রিপন) প্রতিপক্ষ মনে করি না। কারণ তিনি তো অচেনা ব্যক্তি। আমি আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী, আর যেহেতু এখানে তার কোনো অবস্থান নেই তাই নিজের নাম জাহির করতে মিডিয়াকে আমার নামে বিভিন্ন কথা বলছে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি তাকে (সালাহউদ্দিন রিপন) চিনিও না। আমার ছেলে পেলেও তাকে চেনে না। চিনতে হলে বাইনোকুলার দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে- সালাহউদ্দিন রিপনটা কে!
গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, আপনারা এ ধরনের কথা নিয়ে আমাকে যখন প্রশ্ন করেন, খুব লজ্জা পাই। আপনারা আমার পক্ষের লোক নাকি তাদের পক্ষের? আমার কোনো অভিযোগ নেই তার (সালাহউদ্দিন রিপন) বিরুদ্ধে। সে তার কাজ করছে। সালাহউদ্দিনের বিষয়ে শুধু শুনেছি, তার নাকি অনেক টাকা আছে। বস্তিতে গিয়ে গিয়ে খালি বলে, আমি মসজিদ করে দেব; স্কুল করে দেব। মহিলাদের টাকা সাধে। টাকা নিতে না চাইলেও জোর করে দিতে চায়, অনেক জায়গায় মহিলারা একত্রিতও হয়েছে।
এরপর একদিন হয়তো মহিলারা তার ক্ষতি সাধন করলে দোষটা আমাকে দেবে, তাও শুনবেন। বলবে, আমি মহিলাদের দিয়ে তার ক্ষতিসাধন করিয়েছি। কারণ, তিনি তার টাকার গরম দেখাচ্ছেন। টাকার গরম দেখিয়ে রাজনীতি হয় না। জনগণের ভালোবাসা পেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এমএস/এমজে