ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল ওসমানী একসূত্রে গাঁথা: ডা. ইরান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল ওসমানী একসূত্রে গাঁথা: ডা. ইরান

ঢাকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল এম এ ওসমানী একসূত্রে গাঁথা জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জেনারেল ওসমানীকে বাদ দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পুরোটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির দলীয় কার্যালয়ে জেনারেল এম এ ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল ওসমানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. ইরান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক হয়েও জেনারেল এম এ ওসমানীকে ভারতীয়দের পরিকল্পিত চক্রান্তের কারণে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক আত্মসমার্পণকালে উপস্থিত রাখা হয়নি।

জেনারেল ওসমানী ছিলেন আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের এক অনন্য প্রতীক। কিংবদন্তী এক মহানায়ক। অগ্নিপুরুষ ওসমানী এক মহান আদর্শের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্নিবাণ শিখায় ভাস্কর। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিব সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ও গণমাধ্যম বন্ধ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল গঠন করার প্রতিবাদে যে দুজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন তারা হলেন জেনারেল ওসমানী ও ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জেনারেল ওসমানী ছিলেন আজীবন গণতন্ত্রী, ধার্মিক ও খাঁটি দেশপ্রেমিক। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন, তেমনি স্বাধীন দেশেও জাতির দুঃসময়ে কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন এ বঙ্গবীর। অনেক সময় তিনি জাতিকে নির্ঘাত সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। ওসমানী সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিবিদ ছিলেন না। চাটুকারিতা ও কপটতাকে তিনি কখনও ‎প্রশ্রয় দেননি। ‎রাজনীতি বলতে তিনি গণনীতি বুঝতেন। তার সততা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ‎আদর্শের প্রতি ‎অঙ্গীকার ছিল তুলনাহীন। ওসমানীর উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের সামনে লুটেরা ও ‎‎ধোকাবাজরা নিষ্প্রভ হয়ে পড়বে, ‎এ ভয় থেকেই তাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

লেবার পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফ সরকার, মহানগর নেতা শামীম আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।