ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ধর্মীয় সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার নব্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান।
তিনি বলেন, কাদের ইশারায় গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমানদের রমজান ও কোরআনের আলোচনা সভায় পরিকল্পিতভাবে আয়োজকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে? কারা বাংলাদেশকে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়? দেশবাসী সবই জানেন এবং বোঝেন! তবে কথাবার্তা পরিষ্কার আর যদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আঘাত করা হয় তাহলে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত গণ-আন্দোলন একটি গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে।
রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আসাদগেটে জিইউপি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের চলমান সংকট মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদ প্রধান।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঘরে ঘরে নিরব হাহাকার শোনা যাচ্ছে। অভাবের কারণে কেউ ইফতার কেউ সেহরি খেতে পারছে না! রমজান মাসে ক্ষুধার্ত রোজাদারদের আর্তনাদে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগই দেশে একমাত্র শান্তি ফিরে আসতে পারে। অন্যথায় দেশে রাজনৈতিক সংঘাত এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে।
রাশেদ প্রধান বলেন, ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণরূপে মুসলিম বিদ্বেষী। ভারতীয় মুসলিম নিধনের অভিন্ন কৌশল বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারত বাংলাদেশকে অন্যায্যভাবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে শোষণ করে যাচ্ছে। অবিলম্বে ভারতীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
ঢাকা মহানগর জাগপার সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, জাগপা ঢাকা মহানগর নেতা মো. সাজু মিয়া, মনোয়ার হোসেন, মো. আলী ফকির, মো. দিদার হোসেন, যুবনেতা বিপুল সরকার, জনি নন্দী, পাভেন হোসেন, মো. হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ