ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন না জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতা

মান্নান মারুফ/আসাদ জামান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১০

ঢাকা: খুব শিগগিরই ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ তিন নেতার। একাধিক সূত্র একথা নিশ্চিত করেছে।

   

দলের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পাঁচটি পৃথক মামলায় ১৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গত ২৯ জুন গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্টন থানায় দায়ের করা গাড়ি পোড়ানো, রাষ্ট্রপতির চলাচলে বাধা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও উত্তরা থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে তাদের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।  

এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা এবং ২৭ জুন হরতাল চালাকালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আরেক ফারুক হোসেন হত্যা মামলায়ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তারা শিগগিরই মুক্তি পাবেন- এমন আশা করছেন না দলের নেতারাও। এরই মধ্যে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দলের আমীর ও সেক্রেটারি জেনারেল পদে অস্থায়ীভাবে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মতিউর রহামান নিজামীকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ধর্মীয় অনুভ’তিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত কোনো মামলায় জামায়াত নেতাদের জড়ানো যাবে না। তবে আগস্টের মধ্যেই আন্তর্জাতিক কমিশনের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কমিশনের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের হাতে আসার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় জামায়াতের নেতাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত। ’

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে জামায়াত নেতারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে জন্যই ২৯ জুন ঝঁটিকা অভিযানের মাধ্যমে ধর্মনুভূতিতে আঘাতের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ’

এদিকে, এই তিন নেতার গ্রেপ্তারের পরের দিন বুধবার যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদ এমপিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাউকেই মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

দলীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।