ঢাকা, সোমবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ জুন ২০২৪, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

আমরা যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি: মির্জা ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
আমরা যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি।

মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। গণতন্ত্রের আলখাল্লা পরে নির্বাচনের নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে সেই ভয়ে তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগণের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন? কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে, এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এখন আবার একদলীয় শাসনের দিকে যখন আওয়ামী লীগ নিয়ে যেতে চায় তার মূল বাধা বিএনপি।

তরুণ সমাজ কোথায়, দেশের এই অবস্থায় তাদের কি আলোড়িত করে না, এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।

‘আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি’ নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ পরিবারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এমন তথ্য তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে কেস দেখানো হয়েছে, গণতন্ত্র বিনষ্ট ও দুর্নীতির দায়ে। সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। এমন কি সংবাদিকদের লেখার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

তিনি বলেন, দুর্নীতি আর লোপাটের সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুরো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে তারা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের স্যাংশনে অনেকে খুশি হয়েছে, কিন্তু এটা একটা বিভ্রান্তিকর। র‍্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের কিছুই হয়নি, তাদের অপকর্ম থামেনি। আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। উৎখাত করব কেন? ভোটের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করব, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সকলকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুসহ সমমনা জোটের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।