ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জরুরি অবস্থাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিরোধীদল: কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১০
জরুরি অবস্থাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিরোধীদল: কাদের

ঢাকা: বিরোধীদল দেশে আবারও জরুরি অবস্থাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘সুস্থ রাজনীতি, সঠিক নেতৃত্ব ও বর্তমান প্রোপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ সময় বিরোধীদলকে নেতিবাচক পথ ছেড়ে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহবান জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

দেশের রাজনীতি ক্রমশ আত্মঘাতী ও আত্মবিনাশী হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও বিদ্বেষের উত্তাপে মনে হয় আমরা জরুরি অবস্থার সরকার ও দুঃশাসনের অন্ধকারকে আবারো আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ’

রাজনীতি কেন এতো সংঘাতের দিকে যাচ্ছে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশ বদলানোর জন্য কেবল আওয়ামী লীগ নয়, প্রধান দুই দলকেই বদলাতে হবে। আগে দুই দলের নেতাদের বদলাতে হবে। নেতারা বদলালে কর্মীরা, কর্র্মীরা বদলালে জনগণ বদলাবে। তাহলে দেশ বদলাবে। ’

সংগঠনের উপদেষ্টা এমএ করিমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মোশতাক হোসেন। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আবদুল হক সবুজ, এমএ ওয়াদুদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।

বক্তৃতায় বিরোধীদলের হরতাল ও হরতালকে কেন্দ্র করে মোটরশ্রমিক ফারুককে পুড়িয়ে মারাসহ ভাঙচুর তাণ্ডবের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি বলেন, ‘বিএনপির হরতালের দিন মির্জা আব্বাসের বাড়ি ও শাহবাগে সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ওপর হামলার ঘটনা এক ধরনের বাড়াবাড়ি। তবে হরতালের আগের দিন মোটর শ্রমিক ফারুককে আগুনে পুড়িয়ে মারাটা চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি। ’

তিনি বলেন, ‘হরতালকে কেন্দ্র করে মানুষ পুড়িয়ে মারা, প্রকৌশলীর ওপর পিকেটারদের হামলা, বাস পোড়ানো ও ভাঙচুরের কী জবাব দেবেন খালেদা জিয়া? এ ধরনের বাড়াবাড়ির কারণে জনগণের কাছে রাজনীতিবিদদের বিশ্বাসের পারদ নিচে নেমে যাচ্ছে’। তিনি আরো বলেন, ‘দুই-একটি হরতাল করেই যদি তারা (বিএনপি) মনে করে সরকারের পতন ঘটবে- তাহলে বলবো তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। এটা তাদের আমলে হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলেও হবে না। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কথাবার্তায় মনে হয় তিনি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন। তিনি ছায়া বাজেট দেন। সরকারকে সময় বেধে দেন। এটাঁ কেমন আচরণ? দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্বশীল কথা বলা উচিৎ। সরকার ও বিরোধী দল সবারই এটা মানা উচিৎ। খালেদা জিয়া যেসব দাবি নিয়ে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালাচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি সংসদেই যেতে পারতেন। কিন্তু ৩২ জন এমপি নিয়ে তারা সংসদে স্বস্তি বোধ করেন না। মহাজোটের ৩০৫ এমপির মধ্যে তারা সমুদ্রের ঢেউ এর মতোই হারিয়ে যান। তাই নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে বাইরে কথা বলেন। এটাকে আমরা ইতিবাচক বলে মনে করি। হরতালসহ জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি বাদ দিতে হবে। নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসুন। ’

তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলন করবে। সরকার সমর্থক দলের নেতাকর্মীরা আচরণ দিয়ে এর জবাব দেবে। কেননা অতীতে জনগণ তাদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দুঃশাসনের জবাব দিয়েছে আমাদের ভোট দিয়ে। ,

বাংলাদেশ সময় ১২৫০ ঘণ্টা, ২ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।