ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে জনগণের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে ১৯৬৯ সালে এবং এর ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে স্বাধীনতার পথ। বর্তমান ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানও সংগঠিত হয়েছে তার দেখানো পথেই।
মওলানা ভাসানীর দেখানো পথেই জনগণের স্বার্থ রক্ষাকারী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে জনগণের মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে জনগণের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে ১৯৬৯ সালে, এবং এর ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে স্বাধীনতার পথ। বর্তমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান সংগঠিত হয়েছে তাঁর দেখানো পথেই। তাঁর দেখানো পথেই জনগণের স্বার্থ রক্ষাকারী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। সদ্য স্বাধীন দেশে বৈষম্যহীন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ গঠনের কাজ করছে, তখন ৭২ সালের সংবিধানে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত করা হয়েছে। এবং ধারাবাহিকভাবে গত ৫৩ বছরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসমূহ সংবিধানের একচেটিয়া ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে, দেশের সম্পদ পাচার করা হয়েছে। শাসকশ্রেণির স্বেচ্ছাচারি ক্ষমতার বিপরীতে বারবার পথ দেখিয়েছেন মওলানা ভাসানী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, টাঙ্গাইল জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক ফাতেমা রহমান বিথীসহ আঞ্চলিক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
এমজেএফ