ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা।
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সংস্কারের কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হোক, এটি চায় না বিএনপি। দলটি যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে আসছে। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচন চায়।
এদিকে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিছু রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ছিনতাই-হয়রানির ঘটনা ঘটছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এসব পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন। যত দ্রুত দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে, তত দ্রুত দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল হতে পারে। সরকারের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। তারা চায়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করেও রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় রাখতে। তবে, সরকার যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। আবার নিষিদ্ধ না হলেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থান সংহত করতে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাবে। গত ২১ মার্চ হঠাৎ করেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল বের করেন। নির্বাচিত সরকার এবং রাজনৈতিক সংহতি থাকলেই এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলা সম্ভব। এখন দেখার বিষয়, সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কীভাবে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে এবং এর ফলে দেশে স্থিতিশীলতা নাকি সংঘাত তৈরি হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে দেশের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দলটিকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ড. ইউনূসের এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে এনসিপি। দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন ষড়যন্ত্র চলছে। নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থনে আওয়ামী লীগকে নতুন করে পুনর্বাসনের একটি পরিকল্পনা চলছে। তিনি লেখেন, ‘১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় ক্যান্টনমেন্টে আমাদের কাছে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এতে সহযোগিতা করি। ’
হাসনাতের দাবি, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে একটি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ তৈরির চেষ্টা চলছে। এ দলের নেতারা শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করবেন, শেখ পরিবারের কিছু অপরাধ স্বীকার করবেন এবং নিজেদের ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ’ হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরবেন।
হাসনাত আরও লেখেন, আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোনো বাধা দিলে দেশে সংকট সৃষ্টি হবে, আর তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে। এসসিপির এই নেতা বলেন, তারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছেন। তার বক্তব্যের প্রধান দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই। বরং দলটিকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিচার শেষে জনগণ চাইলে রাজনীতিতে ফিরতে পারে আওয়ামী লীগ। শুধু শেখ হাসিনার বিচার নয়, আদালতের ন্যায়সঙ্গত বিচার হলে পরে আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। তখন কে রাজনীতি করবেন বা করবেন না, সেই দায়িত্ব জনগণ নেবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ফ্যাসিবাদ উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে, যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপি ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এই দেশ এবং দেশের মানুষের মূল চালিকা শক্তি। এই ঐক্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের চর্চাকে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যাতে করে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এবং গণঐক্য বিনষ্ট হয় অথবা ফাটল ধরে। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো, জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে, সংস্কার পরে—এ ধরনের অনাবাশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সাথে চলতে পারে।
এর আগে ফেসবুক পোস্টে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবানিতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া। এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি—গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া। এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, যত দ্রুত নির্বাচন করা যায় ততই ভালো। কারণ অন্তর্বর্তী সরকার একক কোনো গোষ্ঠীর সরকার নয়। এখানে নানা শ্রেণির নানা মতের মানুষ রয়েছে। এখানে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের সংকট তৈরির চেষ্টা হতে পারে। পতিত স্বৈরাচারী চক্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবে। নির্বাচন যত দেরি হবে ততই এই সংকটগুলো বাড়বে। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তারই আলামত হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটছে, এগুলো তারই অংশ।
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, আমরা কবে থেকে জার্মানি, ইতালির থেকে বেশি ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেটিক হয়ে গেলাম? গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক।
আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীততে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা পর্যন্ত লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম। এ লড়াইকে ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।
এদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে এ বি জুবায়ের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাজ ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে গণভোটের আয়োজনের আহ্বান করেন তিনি। বক্তব্য শেষে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেন এ বি জুবায়ের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এসকে/টিএ/এমজেএফ