ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জেলহত্যার অন্যতম খুনি বলায় বিএনপিতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলানিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যকে বলছেন বাচালতা।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় তিন নেতার কবরে ফুল দেওয়ার পর সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘জেল হত্যার অন্যতম খুনি জিয়াউর রহমান। তার কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি। ’
ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জিয়া তখন হাউজ অ্যারেস্ট ছিলেন। ’
তিনি বলেন, ‘এতদিন পর এধরনের বক্তব্যে মনে হচ্ছে-তাদের মতিভ্রম ঘটেছে। তারা বাচালের মতো কথা বলছেন। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আসলে তার (আশরাফ) ইতিহাস জানা নেই। তার বক্তব্য শুনে মনে হয় জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে। ’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য জেনারেল মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য মিথ্যা, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত ও শালীনতা বিবর্জিত। ইতিহাস বিকৃত করে আওয়ামী লীগের মত একটা বড় দলের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে। এরকম বক্তব্য দেওয়া খুবই অন্যায়। ’
এ ধরনের বক্তব্যকে দু:খজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করে দেওয়া কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যে রাজনীতিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আর এক সদস্য এমকে আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আশরাফ সাহেবের বক্তব্য জঘন্য মিথ্যাচার। ’
তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বরের আগেই জিয়াউর রহমানকে বন্দি করা হয়েছিল। একটা বন্দি লোক কিভাবে হত্যাকারী হয়। একজন সিনিয়র রাজনীতিকের মুখে এরকম দায়িত্বহীন বক্তব্য কেউই আশা করেন না। ’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘দায়িত্বহীন বক্তব্যই রাজনীতিকে খারাপ পথে নিয়ে যায়। তাই এরকম মিথ্যা কথা কারো না বলাই ভাল। জিয়া সর্ম্পকে যারা কটুক্তি করে তাদের মনে রাখা উচিত, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক। ’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিকে কলুষিত করতে যারা এ ধরনের বক্তব্য দেয় তারা সমাজের বা রাষ্ট্রের মঙ্গল চায় না। ’
মিথ্যার আশ্রায় না নিয়ে সকলকে সঠিক তথ্য তুলে ধরে দায়িত্বশীল বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ জানান গয়েশ্বর।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১০