ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

এক সময় না-বুঝে ট্রানজিটের বিরোধিতা করেছিলাম- হামিদুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১০

ঢাকা: এক সময় না-বুঝেই আমরা ট্রানজিটের বিরোধিতা করেছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি-র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক উইং কমান্ডার এম হামিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রানজিটের বিপক্ষে নই।

আমরা ট্রানজিটের পক্ষে। এক সময় আমরা বিরোধিতা করেছিলাম। তখন হয়ত বুঝিনি। দেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। আমাদের চারপাশ ঘিরে রয়েছে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ব্যাংকক ও ভারতের অঙ্গরাজ্য। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এ জন্য ট্রানজিটের প্রয়োজন রয়েছে। তবে, ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা করতে হবে। এতে বোঝা যাবে, আমরা লাভবান হবো কিনা!’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসকাবের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম আয়োজিত ‘সংঘাতময় রাজনীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় এম হামিদুল্লাহ ট্রানজিট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘উনি ঠিক কোন দেশের তা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। ৪ মাস আগে উনি বলেছিলেন যে, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা আয় হবে। আর এখন বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের কাছ থেকে ট্যাক্স নিতে পারবো না। তা হলে বন্ধুত্ব নষ্ট হবে। আসলে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না, উনি কোন দেশের স্বার্থের কথা ভাবছেন?’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন। এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না। বিচারের নামে দেশে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হবে মাত্র। আর এ থেকে সরকার কিছুটা ফায়দা লুটবে। ’

গোলটেবিল আলোচনায় জাগপা প্রধান শফিউল আলম প্রধান খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়ার নোটিশের সমালোচনা করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বাড়ি ধ্বংস করে শহীদ জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলতে চান। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মুজিবের বাড়ি ধ্বংস করে মুজিবের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করবে। ’

শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘মুজিব ও জিয়াকে শেষ করে কি আমরা মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেঁচে থাকবো?’

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হলে মুজিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। পাকিস্তান ও হিন্দুস্তানের আর্মিকেও, যারা যুদ্ধ করেছে এবং যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদেরকেও বিচার করতে হবে। তারপর ভেবে দেখবো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে কিনা। ’

মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম-এর সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন, বিএনপি-র নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, রফিক শিকদার ও লেবার পার্টির মহাসচিব ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।