ঢাকা: খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ৯ আগস্ট গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। পল্টন ময়দান থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
মঙ্গল দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
আওযামী দুঃশাসন, হত্যা, নির্যাতন, দখল, আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সঙ্কটের কারণে জনদুর্ভোগ, সর্বক্ষেত্রে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, আবদুস সালাম পিন্টু, এহছানুল হক মিলন ও কমিশনার আরিফসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়।
কর্মসূচি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, ‘সরকারের আচারণ তো আপনারাই দেখেছেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্র চায়ও না। ’
সরকার জনগণের সমস্যা সমাধান ও দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা গণঅনশ কর্মসূচি করতে দেয়নি। গ্রেপ্তার করেছে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এবার আমরা পল্টনে ৯ আগস্ট শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে তাদের স্বৈরাচারী মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটবে। ’
তিনি কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ‘জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়, তারা আসলে ক্ষমতায় এসেছে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। এখন সেটাই বাস্তবায়নের জন্য ব্যস্ত হয়েছে পড়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ওপর বাইরের দেশের নজড় পড়েছে। আমরা এ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই সরকার তা চায় না। ’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বেতনের ওপর কর আরোপের প্রতিবাদকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিএনপি যুগ্মমহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১০