ঢাকা: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সল মোর্শেদ খান, সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর হেলাল এবং সাবেক সচিব আ ন হ আখতার হোসেইনের দুর্নীতির মামলা ও সাজা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ এসব মামলা ও সাজা বাতিল করেন।
শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এমএ আজিজ খান। অপর দিকে পঙ্কজ দেবনাথ, ফয়সল মোর্শেদ খান ও মীর হেলালের পক্ষে ব্যারিস্টার আহসানুল করিম এবং আ ন হ আখতার হোসেইনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলী।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে পঙ্কজ দেবনাথকে নোটিশ দেন। ওই সময় দুর্নীতির অভিযোগে প্রণয়ন করা প্রথম তালিকার ৫০ জনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতার নাম ছিল।
পরে ৬৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
দুর্নীতির মামলা নিষ্পত্তির জন্য গঠিত বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বিহর্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে ১৩ বছরের সাজা দেন।
শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মে সহযোগিতা করার অভিযোগে ফয়সল মোর্শেদ খানকে ২০০৭ সালের ২ জুলাই এবং বাবা সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে মীর হেলালকে একই বছরের ৪ জুলাই তিন বছর করে সাজা দেন বিশেষ জজ আদালত।
অপরদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সচিব আ ন হ আখতার হোসেইনকে ২০০৭ সালের ৩১ মে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময় সাজাপ্রাপ্তরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন এবং সাজা বাতিলের আবেদন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১০