ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্রোহী প্রার্থী মদতদাতাদের এমপি মনোনয়ন অনিশ্চিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
বিদ্রোহী প্রার্থী মদতদাতাদের এমপি মনোনয়ন অনিশ্চিত ছবি: পিয়াস/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
 
মদতদাতা কোনো এমপি হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়ন অনিশ্চিত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা।


 
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যেসব মন্ত্রী এমপিরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে, সরকার তার সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করবে।
 
এই নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবে এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা মদত দেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেওয়া হবে। মদতদাতা ব্যক্তি যত ক্ষমতাধর ব্যাক্তিই হোন কেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি যদি এমপি হন, তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার মনোনয়ন অনিশ্চিত।
 
মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলটির চেয়ারপারসন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের জন্য অনেকে তাকে পাগল উন্মাদ ও মতিভ্রম বলেও মন্তব্য করেছেন।
 
কিন্তু বাস্তবতা হলো খালেদা জিয়ার মতিভ্রম হননি, তিনি জেনে শুনে ও বুঝেই মন্তব্য করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন না। একাত্তরের গণহত্যাও খালেদা দেখেননি। কারণ সেসময় তিনি পাকিস্তানের এক জেনারেলের উষ্ণ আতিথেয়তায় ছিলেন।
 
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতিকে দৈউলিয়াত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন নালিশের দলে পরিণত হয়েছে। কথায় কথায় তারা নালিশ করছেন। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের কাছেও নালিশ করছেন। আমাদের দেশের নির্বাচনে বিদেশিদের কথায় সেনাবাহিনী নামবে না। সেনাবাহিনী দরকার হলে নির্বাচন কমিশন নামাবে।
 
এসময় তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আপনাদের সময় কোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে? আপনাদের সময় কোনো নির্বাচনই রক্তপাত ছাড়া সুষ্ঠুভাবে হয়নি।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমরা তাদের স্বাগত জানাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা প্রতিদিন বুলি ছুড়ছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ৮০ শতাংশ জায়গায় জয়লাভ করবে। আমরা বলছি, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা ৮০ শতাংশ জায়গায় পরাজিত হবে।
 
পদ্মাসেতুর বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, পদ্মাসেতুর স্বপ্ন সফল হবে না। বাস্তবতা হলো, পদ্মাসেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। এমনকি বিশ্বব্যাংকও স্বীকার করে নিয়েছে বাংলাদেশের পদ্মাসেতু নির্মাণের সক্ষমতা আছে।
 
তিনি বলেন, আমার মনে হয় খালেদা জিয়া পদ্মাসেতুর কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করেনি এবং তিনি ও তার দলের লোকদের হিংসা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার উচিত সময় থাকলে একবার পদ্মাপাড়ে গিয়ে দেখে আসা ২৪ ঘণ্টা সেখানে কী কর্মযজ্ঞ চলছে! আমার এও মনে হয়, পদ্মাসেতু হয়ে গেলে বিএনপি বলবে, এটা শীহদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল, যা বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা।
 
সমিতির সভাপতি এসকে হাবিবুল্লাহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব ইসহাক ভূইয়া।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫/আপডেট ১৩৩৫ ঘণ্টা
এএসএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।