ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সাভারে খালেদার স্থাপনা উচ্ছেদ: বিএনপির মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১০

সাভার: বিরোধী দলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জমির ওপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবাদে শুক্রবার সাভারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি।  

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ভীতিকর ও স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

একইসঙ্গে জমির দখল বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তারা।

বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আজগর হোসেন, কৃষকদল নেতা আব্দুল বাছেত, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বুধবার দুপুরে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফুজ্জামানের নেতৃত্বে আদালতের রায় অনুযায়ী শতাধিক পুলিশ, র‌্যাব সদস্যের উপস্থিতিতে আশুলিয়ায় খালেদা জিয়ার পাঁচটি স্থাপনা ছাড়াও শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার (খালেদা রহমান) নামে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কেনা জমিসহ প্রশাসনের মাধ্যমে দখল বুঝে পাওয়া সব জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমানের কেনা জমিতে লাগানো সাইনবোর্ডটিতে লেখা হয়েছে- ‘রামচন্দ্রপুর মৌজার ৫২ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আলোর মেলা গ্রামের পুরাতন কোর্ট রোডের বাসিন্দা মর্তুজা আলীর ছেলে মো. আক্কাস আলী’। ঢাকার তৃতীয় সহকারী জজ আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সহায়তায় জমির দখল নেওয়া হয়েছে বলেও ওই সাইনবোর্ডে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী আহমেদ আজম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি   বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির কাছে অভিযোগ করেন, ‘সেদিন ম্যাজিস্ট্রেটকে স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তবে কাগজপত্র দেখার পর ম্যাজিস্ট্রেট শনিবার জমিটি বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ’

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার শরীফুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আশুলিয়ার রামচন্দ্রপুর ও টাকসুট মৌজার স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে আদালতের নির্দেশে। আদালতের নির্দেশেই আইন শৃঙ্খলা রায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। ’

‘সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে থাকলে তা ভুল বলেছেন, কারণ জিয়া পরিবারকে ওই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার মতা তার কিংবা প্রশাসন কারো নেই’, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।