ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউপি নির্বাচন

কালিয়াকৈরে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে দু’দলই বিপাকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
কালিয়াকৈরে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে দু’দলই বিপাকে

গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শনিবার (০৭ মে) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

এসব প্রার্থীদের চেষ্টা করেও দমাতে পারেনি দলের নেতারা। যার কারণে দু’দলই বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছে।  

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৯ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। নির্বাচনে ছোট-খাটো নানা বিষয় থাকলেও আলোচনায় রয়েছে দু’দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।  

আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের দমন করতে এখন পর্যন্ত ৫ প্রার্থীসহ ১০জনকে বহিষ্কার করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপি মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের দুরাবস্থার কারণে কাউকে বহিষ্কার করেনি। তবে বুঝিয়ে বা ভিন্ন কৌশলে বিদ্রোহীদের দমানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।  

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন, আটাবহ ইউনিয়নে আলাল উদ্দিন মোল্লা ও সঞ্জয় কুমার ওরফে বাপ্পী, ঢালজোড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইছামুদ্দিন, চাপাইর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতু ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক।  

অপরদিকে বিএনপির বিদ্রোহীরা হলেন, সূত্রাপুর ইউনিয়নে সোলায়মান, চাপাইর ইউনিয়নে সামছুল পালোয়ান, বোয়ালী ইউনিয়নে মজিবুর রহমান ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আরিফ হোসেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী রেখে অযোগ্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় হবে।  

এছাড়া বহিষ্কার-বহিষ্কার নাটক দলের জন্য ক্ষতি হয়েছে, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।  

বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের সঙ্গে তেমন ভাবে সম্পৃক্ততা নেই। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের পক্ষে যারা প্রচারে কাজ করছে তাদেরও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তার পরও ওই সব প্রার্থীরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী সাইয়েদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, বিএনপিতে তেমন কোনো বিদ্রোহী নেই। যারা ছিলো তারা দলের কেউ না। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে। তবে এটা নিয়ে তারা চিন্তিত নন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সবগুলো ইউনিয়নে তাদের প্রার্থীর জয় হবে।

চতুর্থ ধাপে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়নগুলো হলো- চাপাইর, বোয়ালী, ফুলবাড়িয়া, মধ্যপাড়া, ঢালজোড়া, আটাবহ ও সূত্রাপুর। ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
কালিয়াকৈর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৪১০। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতি কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৪-৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৮-১০ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

কালিয়াকৈরে ৭টি ইউনিয়নে ৭৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ৫৯টির মধ্যে ২৯টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৬
আরআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।