ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বক্তৃতার মাঝখানে বলে উঠলেন, ‘একটা প্রশ্ন করি। তোমরা কী কেউ জানো, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোন দল কতটিতে বিজয়ী হয়েছে? জাতীয় পার্টি কতটিতে বিজয়ী হয়েছে?’ এরপর তিনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষায় থাকলেন উত্তরের জন্য।
রাজধানীর ইমানুয়েলস কনভেন সেন্টারে (০৯ মে) কাউন্সিলের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পাশে তখন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায় সবাই বসা। মঞ্চেই পার্টির মহাসচিবসহ ডজন খানেক প্রেসিডিয়াম সদস্য। সামনে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্মমহাসচিব পর্যায়ের শতাধিক নেতা বসা।
সবাইকে নিশ্চুপ থাকতে দেখে হতাশা প্রকাশ করলেন এরশাদ। বললেন, ‘খুব দুঃখ পেলাম, সো স্যাড। পার্টি সম্পর্কে কারো কোনো আগ্রহ নেই। তোমরা কেউ পার্টির খবর রাখো না। আমার মনে হয় নেতারাও এই তথ্য জানে না। ’
এবার এরশাদ নিজেই বললেন, ‘জাতীয় পার্টি জিতেছে ৩৫টিতে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে জাতীয় পার্টি। মানুষ আমাদের ভুলে যায়নি। এটাই তার প্রমাণ। ’
এরশাদ আরও প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কী জানো এই নির্বাচনী সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, তারা কোন দলের? তোমরা কেউ খবর রাখো না, দুঃখ পেলাম। যারা মারা গেছেন, সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। বিএনপি, জাতীয় পার্টির কেউ মারা যায়নি। ’
নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার প্রয়োজন, তা না হলে কালো টাকার দৌরাত্ম্য এবং হানাহানি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের।
তিনি বলেন, ‘এই যে কাউন্সিল হচ্ছে। আমার ধারণা কাউন্সিল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়ে সব ভুলে যাবেন। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। সেই সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম হাবিব দুলাল, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
***‘বিএনপি ক্ষয়িষ্ণু, জাতীয় পার্টি বর্ধিষ্ণু’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এসআই/টিআই/আইএ