ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সরকারের চ্যালা-চামুণ্ডারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
‘সরকারের চ্যালা-চামুণ্ডারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে’

ঢাকা: সরকারের চ্যালা-চামুণ্ডারা দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

 

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।


 
নিজের নির্বাচনী এলাকা ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম রকিব হায়দারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা, প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এ বিবৃতি দেন খালেদা জিয়া।
 
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসনকে পদদলিত করে দেশে পেশিশক্তি নির্ভর এক বর্বর আওয়ামী দুঃশাসন চাপিয়ে দেওয়ার বেপরোয়া ও ধারাবাহিক অপপ্রয়াসে নাগরিক সমাজ আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
 
‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে জবরদস্তি ও অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই শাসকদের সরাসরি মদত ও আস্কারায় তাদের চ্যালা-চামুন্ডারা দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। নির্লজ্জ দলীয়করণ ও যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর আইনসম্মত পন্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছেন না তারা’।
 
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রশাসন, পুলিশ, সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর দৈহিক হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে’।
 
‘অন্যায় আবদার রক্ষা ও বেআইনি নির্দেশ পালন এবং বিধিবহির্ভূত সম্মান ও সুযোগ দিতে অস্বীকার করলেই রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্তা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
 
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম রকিব হায়দারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,  ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবাধে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন এখন কতোটা অসম্ভব ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এই ঘটনা তার  জ্বলন্ত প্রমাণ’।
 
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কোনো ঘটনা নিয়ে বেশি তোলপাড় হলে চোখে ধূলা দেওয়ার জন্য সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার বা সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। শাসক দলের কোনো নেতা আদালত থেকে দোষী সাব্যস্ত হলেও বিশেষ অনুকম্পায় তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নেতাকর্মীরা ছাড়া পেয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধ সংঘটিত করছেন’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।