ঢাকা: গুপ্তহত্যা দমন করতে সরকার জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই থাকুক না কেন, এমন কি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো লিংক থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ঘোষণাপত্র উপ-পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন শেখ সেলিম। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের প্রটেকশন দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে মন্তব্য করে সভায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম আরও বলেন, এখন দেশে গুপ্ত হত্যা হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন বলছেন আমরা এ সকল কর্মকাণ্ড করছি। তাহলে কি আমরা আমাদের সরকারকে বিব্রত করার জন্য এ সকল কর্মকাণ্ড করছি? তিনি (খালেদা) সন্ত্রাসীদের প্রটেকশন দেয়ার জন্য এ সব কথা বলছেন।
শেখ সেলিম বলেন, যখন দেশে পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছিল তখন বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া বলেছিল সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। কিন্তু পেট্রোল বোমার সন্ত্রাসীদের ধরার পর বের হয়ে এসেছিল তারা বিএনপি জামায়াতের লোক।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের যদি কেউ গডফাদার হয়ে থাকে তাহলে সেটা খালেদা জিয়াই। এদেশে যত অঘটন ঘটছে, যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে এগুলো বিএনপি-জামায়াতই করছে।
তিনি জনগণের প্রতি সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যখন দেশে ৯৩ দিন ধরে পেট্রোল বোমা মেরেছিল বিএনপি-জামায়াত, তখন সরকার জনগণের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করেছিল। আমরা আবার জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই জঙ্গি সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে সরকারকে সহযোগিতা করুন। আশা করি জনগণের সাহায্য নিয়ে অতি সত্বর এ ধরণের ঘটনা বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, গুপ্ত হত্যা করে সরকার পতন ঘটানো যাবে না। গুপ্ত হত্যা যারা করছে তারা হয়তো ক্ষণিকের জন্য মানুষের মনে ভয়ভীতি ছড়াতে পারছে কিন্তু তাদের দমন করার জন্য আমাদের সরকার জিরো টলারেন্সে আছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। এমনকি খালেদা জিয়ার কোন লিংক থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। পেট্রোল বোমা মারার অপরাধে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার হবে। এখানে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ সেলিম বলেন, জয় যখন বৈঠক নিয়ে বিবিসিকে চ্যালেঞ্জ করলো তখন বিবিসি থমকে গিয়েছে। এখন তারা ইনকোয়ারি করে দেখে খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করেছে। সুতরাং মানুষের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আর আসলে অপরাধী কারা, সেটা প্রকাশ পেয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আলম মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, দলের সমাজকল্যাণ বিষয় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘন্টা, জুন ১০, ২০১৬
এসকে/আরআই