ঢাকা: ছাত্রলীগকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে তোমরা কাজ করবে।
দু’দিনব্যাপী বর্ধিতসভা ও কর্মশালা শেষে মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে গণভবনে ছাত্রলীগ নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেবো না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ করে কারো মঙ্গল করা যায় না, কোনো দেশ এগুতে পারে না।
ছাত্রলীগের প্রতিটি সদস্যকে সংগঠনের আদর্শে নিজেকে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতার লোভে পড়ে ব্যক্তিগত চাহিদাকে প্রাধান্য দিলে দেশকে কিছু দিতে পারবে না। একজন রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকতে হবে।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হবে। না হলে, রাজনীতিবিদদের জীবনটাই ব্যর্থ।
শেখ হাসিনা বলেন, সততার শক্তি অনেক বেশি। যার ভেতর সততা থাকে, সে সব বাঁধা মোকাবেলা করতে পারে।
তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। প্রমাণ করুন কোথায় দুর্নীতি হয়েছিলো। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কখনো ভাবেনি যে, আমাদের মতো দেশের নেতা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাদের সঙ্গে অনেক বড় দেশ ছিলো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। এতোটুকু দুর্বলতা থাকলে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না।
নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এক সুদখোর ছিলো। তার অপকর্ম ঢাকতেই এটা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক.. আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। আল্লাহ ছাড়া আমরা কারো কাছে মাথানত করবো না।
এসময় নিরক্ষরতা দূর করতে ছাত্রলীগকে কাজ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সাধারণ নাগরিকদের সামনে তুলে ধরতে, শিক্ষানীতির প্রচারণা চালাতেও ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০১৬
এমইউএম/ওএইচ