বান্দরবান: অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মংপু মারমার মুক্তির দাবিতে বান্দরবানের চার উপজেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ডাকে বুধবার (১৫ জুন) থেকে অনির্দিষ্টকালের এ অবরোধ চলছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা জানান, সকালে শহরের ট্রাফিক মোড়, নিউগুলশান, বাসস্ট্যান্ড, বালাঘাটা, ক্যায়াংমোড়, রাজারমাঠ এলাকা ও বান্দরবান-কেরানিহাট প্রধান সড়কের সুয়ালকসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়া বান্দরবান সদর, রুমা, থানছি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সব সড়ক ও নৌপথে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় জনগণ। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী জানান, মংপুকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে অবরোধ চলবে। তবে রমজানের কারণে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া পবিত্র রমজান ও জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও লামা উপজেলায় বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৩ জুন) রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মংপু মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এদিকে, অপহৃত মংপুর মেয়ের জামাই হ্লা মং চিং বাদী হয়ে অপহরণের ঘটনায় জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, সংগঠনটির সভাপতি উছোমং মার্মা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাবা মংসহ ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
এনটি/এসআই