ঢাকা: দেশে যেভাবে নৈরাজ্য চলছে এতে দেশ দ্রুত রসা তলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মাহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৪ জুন ) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা সভা ও আয়োজিত ইফতার মাহফিলে’ প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই বাজেট জনগণের বাজেট নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা জনগণের সরকার নয়, অবৈধ সরকার। নির্বাচনের নামে নাটক করে, জোরকরে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারের বিশেষ মহলের প্রত্যাশা পূরণ ও নিজেরা লুটপাট করার লক্ষ্যে এই বাজেট তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা আরো চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি মানুষকে আগের বছরের চেয়ে ৪ হাজার টাকা আরো বেশি কর দিতে হবে। তিনি বলেন, গত বছরের বাজেটের ফলে মাথাপিছু মানুষকে ১১হাজার টাকা কর দিতে হয়েছে। কিন্তু এই বাজেটের ফলে ১৫ হাজার ১৭২ টাকা কর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রীর রাবিশ শব্দের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাজেট তৈরির আগে ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা সভা করা হয়েছে কিন্তু কথাগুলোর একটা কথা রাখেননি। সরকারের বিশেষ নির্দেশনায় গায়েবি ভাবে বাজেট তৈরি করা হয়েছে। এর কারণে নতুন বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। কিন্তু এখনো কাউকে চিহ্নিত করা হয়নি। এসবে জবাবদিহিতা নেই। আর করবেই বা কে? সরকারের এমপি হিসেবে যা রয়েছেন তারা সংসদে ব্যস্ত রয়েছেন বিএনপিকে দোষারোপ করার জন্য।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল করির রিজভী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শতশত বিদেশি কোম্পানি বিনা করে বিনিয়োগ করে হাজার কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
এমএফআই/বিএস