জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্মরত এক সাংবাদিক ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন, জাবি ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মহিতোষ রায় টিটো, সহ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকরাম উদ্দিন অমি, ছাত্রলীগকর্মী পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকরাম নাহিদ।
এছাড়া নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু রায়হানকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরীফ হোসেন লস্কর এবং বাংলা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ফাহিমা আহমেদ এ্যানি এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা-১) অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা তদন্তে জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ আনোয়ার খসরু পারভেজকে প্রধান ও উপ রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি-২) এ বি এম আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকেও ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ৮ জুন রাতে এক তরুণীকে অপহরণের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন জাবির বিডিনিউজ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত ৪ জুন কম্পিউটার কোর্স শেখার জন্য ক্যাম্পাস থেকে সেনওয়ালিয়া যাওয়ার পথে শিক্ষার্থী আবু রায়হানকে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
এসআর