ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

একা একাই নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করলেন তিনি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
একা একাই নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করলেন তিনি!

ময়মনসিংহ: কখনো মোটরবাইক হাঁকিয়ে, আবার কখনো পায়ে হেঁটে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে কড়া নেড়েছেন। দলবেঁধে নয়, একা একাই ভোটারদের মন গলাতে নিজের পক্ষে নিজেই প্রচারণা চালিয়েছেন।

প্রচারণা মিছিল বা জনসমাবেশের মতো খরচের প্রবণতার মধ্যেও ছিলেন না তিনি।

সোমবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের উপনির্বাচন। এ উপনির্বাচনে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুজ্জামান জামালের ব্যতিক্রমী প্রচারণার স্টাইল ছিল এমনই।

উপনির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়ে গেছে শনিবার (১৬ জুলাই)। প্রচারণার পুরো সময়কালে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে একা একাই শুরু হয় শামসুজ্জামান জামালের নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন দুপুরেও একাই উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের প্রচারণা শেষ করেন তিনি। এরপর উপজেলা সদরে ‘ডোর টু ডোর’ জনসংযোগও করেন একাই।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ কালজয়ী সেই গানের মতোই একা হেঁটে বেড়িয়েছেন জামাল। কালো ফ্রেমের চশমা আর সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এ প্রার্থী নিজের প্রচারণা লিফলেটও একা একাই বিলি করেছেন ভোটারদের মাঝে। বৃষ্টি নামলে নিজের মোটরবাইকটি রেখে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে গৌরীপুরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় প্রচারণা চালিয়ে ফিরেছেন।

শামসুজ্জামান জামাল উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং ১৯৯২ সালে উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর আরো ৩ বার চেয়ারম্যান পদে ইউপি নির্বাচন ও একবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বিজয়মাল্য পরতে পারেননি।

হুট করেই এবার ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন শামসুজ্জামান জামাল। এ সম্পর্কে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে’।

এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন প্রচার-প্রচারণায় ভোটের মাঠ সরগরম করলেও সেই পথে হাঁটেননি জাপার এ প্রার্থী।

‘একা একা প্রচারণা সহজ। এতে করে সব ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলানো যায়। সঙ্গে নেতাকর্মীরা থাকলে জনসংযোগে সময় লাগে বেশি। তাছাড়া আমাকে উপজেলার সব ভোটাররাই চেনেন’- একা প্রচারণার পক্ষে এমন যুক্তি দেখান শামসুজ্জামান।

‘প্রচারণা মিছিল বা সমাবেশ করলে অনেক টাকা-পয়সার দরকার হয়। সেই টাকা-পয়সা তো আমার কাছে নেই’।

শামসুজ্জামান জামাল আরও বলেন, ‘মিছিলের চেয়ে ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলালে, কোলাকুলি করলে তারা অনেক খুশি হন। তবে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলে-পেলেরা লিফলেট বিলি করেছেন’।

‘আমার প্রচারণায় ৩টি মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের লোকজন আমার প্রচারণায় বাধা দিয়েছেন’ বলে অভিযোগ করেন উপ-নির্বাচনে জাপার এ প্রার্থী।

নিজের সহনাটী ইউনিয়নসহ ৪ থেকে ৫টি ইউনিয়নে ‘নির্দলীয়’ ভোট টেনে ভোটের বাক্স ভারি করবেন বলে দাবি করেছেন শামসুজ্জামান জামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে মূল ফাইট জাতীয় পার্টিরই হবে।

‘নির্বাচনের দিন পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ থাকলে আমার জয়ের পাল্লাই ভারি’- মুচকি হেসে বলেন এ প্রার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
এমএএএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।