ঢাকা: সরকার দলীয়ভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন সংশোধন করার পর এবার বিধিমালাও সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে শর্ত শিথিল করলো সংস্থাটি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে এমন প্রমাণ দিতে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। ইসি কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু সিটিতে সংসদীয় আসনের থেকে ভোটার সংখ্যা বেশি থাকে তাই ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে তা যাচাই করাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই সংখ্যা নির্দিষ্ট করে ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবে ৩শ’ ভোটারের বিধান রেখে বিধিমালা সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জানান, কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় এখন বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। তারা কোনো আপত্তি না জানালে শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে ১০০ ভোটারের সমর্থন দেখাতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনের জন্য ভোটারের সমর্থন দেখানোর শর্ত রাখা হয়নি।
এদিকে সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিতেও সংশোধন আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী ও তাদের সম পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না-এমন বিধান রাখা হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ইসি। যে কারণে সংশোধিত আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা সংশোধন করতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।
২০১৫ সালের নভেম্বরে সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে সম্পন্ন করতে আইন সংশোধন করে সরকার। এরপর বিধিমালা সংশোধন করে একই বছর ডিসেম্বরে নবম পৌরসভা এবং গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নবম ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস
