ঢাকা: সুন্দরবন রক্ষায় সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঘোষিত কর্মসূচিতে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবন বিনাশী চুক্তি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ জানান, ২৩ নভেম্বরের মধ্যে সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প বাতিল না করলে ২৪ নভেম্বর থেকে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি এবং ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে।
সকাল থেকে শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও বাম রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। ‘সুন্দরবন বিনাশী’ এ চুক্তি বাতিলের দাবিতে নানা স্লোগান, কবিতা আবৃত্তি, প্রতিবাদী গানে মুখর থাকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
এসময় মাইকে আহ্বান জানানো হয়- ‘এখানে সুন্দরবনের পক্ষে ছবি আঁকুন, গান করুন, নাটক করুন, কবিতা পড়ুন, কার্টুন আঁকুন, নিজের লেখা ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ান’...। আর শহীদ বেদী থেকে ভেসে আসছে জাগরণের গান। একসুরে তারা বলছেন, ‘রামপাল চুক্তি ছুড়ে ফেল। সুন্দরবন রক্ষা কর’।
ইডেন কলেজ থেকে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন কানিজ খাদিজা। তিনি বলেন, সুন্দরবন রক্ষার জন্য আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে। সুন্দরবন দক্ষিণাঞ্চলের মায়ের মতো। মা যেমন যেকোন বিপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করে তেমনি সুন্দরবন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে সেভাবে রক্ষা করে।
‘আমি নিজেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সেখানে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা ঠিক হবে না। সুন্দরবন রক্ষার জন্য যেকোন কর্মসূচি আসুক তাতে নিজের যোগ দেওয়া উচিত’ -বলছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের অনার্স চতুথ বর্ষের শিক্ষার্থী কানিজ খাদিজা।
এছাড় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন মাসব্যাপী জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে চলবে সমাবেশ, কনভেনশন ও ঢাকার বিভিন্ন রুটে পদযাত্রা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলাচিঠি , ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়ার কর্মসূচি পালিত হবে।
এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কমরেড খালেকুজ্জামান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, কফিল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
এসএ/এসএইচ