রাজশাহী: জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সাড়া নেই সাধারণ মানুষের। হরতাল শুরুর পর সকাল থেকে জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি।
হরতালে নাশকতা এড়াতে রাজশাহী শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রধান সড়কে টহল দিচ্ছে এলিট ফোর্স র্যাবের সদস্যরা।
এদিকে, সকাল থেকে রাজশাহী-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। তবে এর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। স্বাভাবিক রয়েছে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচলও।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, গোরহাঙ্গা রেলগেট, শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট বাড়তে দেখা গেছে। হালকা যানবাহন চলাচল করছে নির্বিঘ্নে।
রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে সকালে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনাগামী কপোতাক্ষ, বরেন্দ্রসহ বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ও লোকাল মেইল ট্রেন যথাসময়ে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, হরতালে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, আর্মড পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল থাকায় বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
এসএস/এএ